Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ উদযাপন
বিস্তারিত

রাঙ্গামাটিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ উদযাপন


“কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ ও উন্নত জীবন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও খাদ্য অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা এর আয়োজনে জেলাপ্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আল-মামুন মিয়া, অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ আপ্রু মারমা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিস রাঙ্গামাটি অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন ২০২৩ সাল আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণ সরবরাহ ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতা, বৈশ্বিক খরা ও বন্যা পরিস্থিতি ইত্যাদি নানাবিদ কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য দ্রব্যের মূল্য ও যোগানে ইতোমধ্যে ভারসাম্যহীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কৃষির সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। অনাবাদি পতিত জমিকে পরিকল্পিত চাষের আওতায় আনতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পার্বত্য এলাকার পতিত জমিতে মিশ্র ফল বাগান স্থাপনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত খাদ্য পরিকল্পিত ভাবে সুষম বন্টন করা গেলে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন, বিশ্বের সবার ভবিষ্যৎ খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ২০৫০ সালে খাদ্য উৎপাদন ৬০% বাড়াতে হবে। ১৯৭২  সালে দেশে খাদ্য শস্যের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আর লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ৭.৫ কোটি। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে এবং কৃষি জমিও কমেছে উল্লেখযোগ্যা হারে। ফলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ খাদ্য চাহিদা পূরণে আমাদের এখনই যথাযথ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পার্বত্য এলাকায় মোট জমির মাত্র শতকরা ৫ ভাগ জমিতে বর্তমানে ফসল আবাদ হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবান ‘এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবেনা’। সেই লক্ষ্য পূরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পার্বত্য এলাকার পতিত জমিতে পরিকল্পিত মিশ্র ফল বাগান স্থাপনের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া সভায় মতামত ব্যক্ত করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সন্তোষ কান্তি চাকমা এবং জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো: আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, কৃষক/কৃষানী, জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
18/10/2022
আর্কাইভ তারিখ
18/10/2054